ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

৩০ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযান

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
৩০ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযান

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা তীব্র সংগ্রাম, ব্যাপক উদ্বাস্তু সংকট এবং আন্তর্জাতিক মনোযোগ দ্বারা চিহ্নিত। ৩০ জুলাই ১৯৭১ এই যুদ্ধের একটি উল্লেখযোগ্য ও ঘটনাবহুল দিন হিসেবে বিবেচিত, যেদিন ঢাকায় সামরিক আদালতের নির্দেশ, শরণার্থী সংকটের তীব্রতা, মুক্তিবাহিনীর গেরিলা অভিযান এবং আন্তর্জাতিক মহলে উত্তপ্ত আলোচনা প্রাধান্য পায়। এই প্রতিবেদনে ৩০ জুলাই ১৯৭১-এর প্রধান ঘটনাগুলোর বিস্তারিত বিবরণ একত্রিত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ, ভারত এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের ঘটনাবলির একটি সমন্বিত চিত্র তুলে ধরে।

ঢাকায় সামরিক আদালতের নির্দেশ

৩০ জুলাই ১৯৭১ তারিখে ঢাকার এক নম্বর সামরিক আদালত মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এদিন আদালত বিশিষ্ট অভিনেত্রী কবরী এবং কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারকে ১৩ আগস্টের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া, ছাত্রনেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু, কামরুল আনাম খান খসরু এবং আব্দুল গণি মনুকে ১৬ আগস্টের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত ঘোষণা করে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

একই দিনে, সামরিক আদালত মুক্তিবাহিনীর পক্ষে অংশগ্রহণকারী ১৩ জন তরুণের বিরুদ্ধে হাজিরার নির্দেশ জারি করে। তারা ছিলেন চাঁদপুরের মোহাম্মদ ইদ্রিস, কুমিল্লার দাউদকান্দির আব্দুল ওহাব, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আব্দুর রহমান, সেনবাগের ভুলু, কুমিল্লার দেবীদ্বারের মুজিবুর রহমান এবং ঢাকার রায়পুরার কালুগাজী, শফি, কাফী, সাদী, মান্নান, বারেক, খালেক ও শরাফত। আদালত স্পষ্টভাবে জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হবে। এই নির্দেশগুলো পাকিস্তানি সামরিক শাসনের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের দমন করার কঠোর প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটায়।

ভারতে শরণার্থী সংকটের তীব্রতা

৩০ জুলাই ভারতের রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় শ্রম ও পুনর্বাসনমন্ত্রী আর কে খাদিলকর জানান, বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৬০ কোটি রুপি ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, পূর্ববঙ্গ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭১৬ জনে পৌঁছেছে এবং এই সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে ১ কোটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিশাল শরণার্থী সংকট ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে।

একই দিনে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, শরণার্থী শিবিরগুলোর তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত বিদেশি কর্মীদের পরিবর্তে এখন ভারতীয় কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। বিদেশি সংস্থার ২৬ জন প্রতিনিধিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, এবং বাকি ৪৮ জন বিদেশি কর্মীর জন্যও এই নোটিশ জারি করা হবে। এই পদক্ষেপ ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ ছিল।

আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ ইস্যু

৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করার প্রস্তাব দেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে একটি চিঠিতে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যার অনুলিপি পরিষদের সকল সদস্য রাষ্ট্রের কাছে পাঠানো হয়। তবে, এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক নাকি অনানুষ্ঠানিকভাবে বিবেচিত হবে, তা সদস্যদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। রয়টার্স জানায়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সভাপতি জাক কোসসিউস্কো এই বিষয়ে অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যা উ থান্টের গোপন স্মারকলিপির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ভারত এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়, কারণ তারা মনে করেছিল যে এটি বাংলাদেশের মূল সমস্যা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হিসেবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা। ভারত স্পষ্টভাবে জানায় যে তারা বাংলাদেশের সংকটকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মেনে নিতে রাজি নয়।

মার্কিন সিনেটে, সিনেটর ওয়াল্টার মন্ডেল এবং ডোনাল্ড ফ্রেজার একটি যৌথ প্রস্তাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে "বিশ্বের সবচেয়ে ভীতিকর" হিসেবে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নিপীড়নে শত হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ ভারতে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা মার্কিন সরকারের নীরবতা ও পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহের নীতির সমালোচনা করেন, এবং এই পরিস্থিতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের "অযৌক্তিক অবহেলা" নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

একই দিনে, সাবেক মার্কিন সিনেটর ইউজিন ম্যাককার্থি লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি স্বাধীন বাংলাদেশকে সমর্থন করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিকে ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিকভাবে যৌক্তিক বলে মনে করেন, এবং পাকিস্তান সরকারের দীর্ঘদিনের নিপীড়নের কথা উল্লেখ করেন। ম্যাককার্থি বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটির আমন্ত্রণে ১ আগস্ট লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে একটি সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য লন্ডনে এসেছিলেন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজনের কারণে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

মার্কিন সিনেটর জেমস পিয়ারসন এক বক্তৃতায় বলেন, পাকিস্তানে চলমান হত্যাযজ্ঞ ও অনাহারে মানুষের মৃত্যু আমেরিকার জনগণের জন্য নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান, পাকিস্তানকে বোঝাতে যে আমেরিকার জনগণ এই নৃশংসতাকে উপেক্ষা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য বন্ধ করার জন্য কংগ্রেস আইনসঙ্গত পদক্ষেপ নিতে পারে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ

৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়। মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সম্পাদকীয় নিবন্ধে পাকিস্তানে চলমান সংঘাতকে হিটলারের পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করে। নিবন্ধে বলা হয়, হলোকাস্টের পর এমন ব্যাপক মৃত্যু ও উদ্বাস্তু সংকটের ঘটনা বিশ্বে বিরল। এটি সমালোচনা করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে কেবল দুঃখ প্রকাশ ও ত্রাণ প্রদানের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে, এবং পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতীয় বাহিনীকেও এই সংকটের জন্য দায়ী করার প্রচেষ্টা চলছে।

ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, নয়াদিল্লি স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সংকটকে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হিসেবে বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানায়। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান যখন এই সংগ্রামকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে, তখন লাখ লাখ শরণার্থীর ভারতে আগমনের কারণে এটি আর অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে না। ভারত আশা করেছিল যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে, যা শুধু মানবতার জন্য নয়, পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি।

ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা এদিন “পূর্ববঙ্গে গণহত্যা” শিরোনামে একটি আধা-পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞাপনে ঢাকার রাস্তায় তিন তরুণের মৃতদেহের একটি ছবি প্রকাশিত হয়, যার নিচে লেখা ছিল, “ছবিটি আপনার সন্তানদের দেখান এবং তাদের নিয়ে ১ আগস্টের জনসমাবেশে যোগ দিন।” অ্যাকশন বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রকাশিত এই বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীসহ অন্যান্য বক্তাদের নাম এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে সমাবেশে যোগদানের জন্য যাতায়াতের তথ্য উল্লেখ করা হয়। যারা সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না, তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানানো হয়।

দেশব্যাপী ঘটনা

৩০ জুলাই সিলেট রেজিস্টার ময়দানে ড. আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে রাজাকারদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ফুলতলির মাওলানা আব্দুল লতিফ, সাবেক মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে রাজাকাররা কুচকাওয়াজ করে, যা পাকিস্তানি শাসনের সমর্থনে তাদের সক্রিয়তার প্রতীক ছিল।

মুক্তিবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযান

৩০ জুলাই মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক সফল গেরিলা অভিযান পরিচালনা করে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নানকরায় সেকেন্ড লেফটেনেন্ট ইমামুজ্জামানের (স্বাধীনতার পর বীর বিক্রম ও মেজর জেনারেল) নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি প্লাটুন পাকিস্তানি বাহিনীর ২৯তম বেলুচ রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানির একটি জিপের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় ছয়জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় এবং আহত একজন চালককে মুক্তিবাহিনী বন্দী করে। জিপে থাকা সমস্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিবাহিনী তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

কুমিল্লার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর একাধিক অবস্থানে অ্যামবুশ করে। শ্রীমান্তপুরে সকালে মুক্তিবাহিনীর হামলায় ১১ জন এবং সন্ধ্যায় একই স্থানে চারজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। দুপুরে কোটেশ্বর ও রাচিয়াতে পৃথক অ্যামবুশে যথাক্রমে চারজন নিহত ও দুজন আহত হয়। বেলা ১১টার দিকে আনন্দপুরে মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে ১২ জন এবং পৃথক আরেকটি অ্যামবুশে ১৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। চৌদ্দগ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তিবাহিনীর আরেকটি হামলায় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়।

মুক্তিবাহিনী এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী গ্রিডের দুটি পোল ধ্বংস করে, ফলে আশুগঞ্জ-ঢাকা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া, ভৈরব-নরসিংদী-ঘোড়াশাল বাইপাসে আশুগঞ্জ-ঢাকা লাইনের ১০০০ কিলোওয়াট গ্রিডের একটি পোল এবং ভৈরব-ঢাকা টেলিফোন লাইনের চারটি পোল ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এই অভিযানগুলো পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থার উপর গুরুতর আঘাত হানে।

৩০ জুলাই ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত। ঢাকায় সামরিক আদালতের কঠোর নির্দেশ, ভারতে শরণার্থী সংকটের তীব্রতা, মুক্তিবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযান এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান সমর্থন এই দিনের ঘটনাগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য। জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রস্তাব, মার্কিন সিনেটরদের কঠোর সমালোচনা এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রচারণা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরে। এই ঘটনাগুলো মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পথে একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র সপ্তম, অষ্টম, দশম, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ খণ্ড

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর দুই

দৈনিক পাকিস্তান, ৩১ জুলাই ১৯৭১

দ্য স্টেটসম্যান, ৩০ জুলাই ১৯৭১

ওয়াশিংটন পোস্ট, ৩০ জুলাই ১৯৭১

দ্য টাইমস, যুক্তরাজ্য, ৩১ আগস্ট ১৯৭১

ইত্তেফাক, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট ১৯৭১

আনন্দবাজার পত্রিকা, ভারত, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট ১৯৭১

যুগান্তর, ভারত, ১ ও ২ আগস্ট ১৯৭১

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩১ জুলাই ১৯৭১: কামালপুর সীমান্ত ঘাঁটিতে তীব্র যুদ্ধ

পাথরাইল-নলশোদা গণহত্যা (দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল)

৩০ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযান

গঙ্গাচড়ার সহিংসতা / রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব ও সমাজের নীরবতা

২৯ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ কার্যক্রম তীব্রতর

সংবিধানের সঙ

২৭ জুলাই ১৯৭১: বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর সাহসী আক্রমণ

২৬ জুলাই ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন

রাধুটিলা গণহত্যা (বিয়ানীবাজার, সিলেট)

২৪ জুলাই ১৯৭১: ভেনিজুয়েলা ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের গণহত্যার প্রতিবাদ

১০

পাতারচর গণহত্যা (মুলাদী, বরিশাল)

১১

মানুষই মানুষের অন্তিম আশ্রয়

১২

২৩ জুলাই ১৯৭১: বিশ্ব শক্তি বাংলাদেশ সংকট নিয়ে সক্রিয়ভাবে জড়িত

১৩

২২ জুলাই ১৯৭১: টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ

১৪

ভাড়ায় চাপাতি ও মোটরসাইকেল: রাজধানীর অপরাধ জগতের ভয়াবহ নতুন রূপ

১৫

রাজনীতির উনমানুষরাই প্রলাপ ডাকে বেশি

১৬

২১ জুলাই ১৯৭১: ঠাকুরগাঁওয়ে গেরিলা অভিযান মুক্তিযোদ্ধাদের

১৭

মবতন্ত্রের জয়

১৮

ডিজিটাল দাসত্ব: মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

১৯

২০ জুলাই, ১৯৭১: বাংলাদেশে কুচক্রী আগ্রাসন

২০