২৩ আগস্ট ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল দিন হিসেবে চিহ্নিত। এই দিনে পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ঘটনা, প্রতিরোধ, এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন আরও জোরদার হয়। প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন-এ এদিন “পাকিস্তানে মুজিবের গোপন বিচার” (Pakistan: Mujib’s Secret Trial) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন সামরিক বিচার এবং পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে। এই প্রতিবেদনটি সেই দিনের ঘটনাবলি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ, ভারত ও আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া, এবং পাকিস্তানের প্রচারণার বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন বিচার
২৩ আগস্ট ১৯৭১-এ টাইম ম্যাগাজিন-এর প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক আদালতে গোপন বিচার শুরুর বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার জন্য মুজিবকে অভিযুক্ত করা হলেও তিনি পাকিস্তানের পূর্ণ বিভক্তি চাননি। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তখনই, যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী গণহত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। টাইম ম্যাগাজিন-এর প্রতিবেদক ডেভিড গ্রিনওয়ে একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সাক্ষাৎকার উল্লেখ করে বলেন, “আমাদের জনগণ এর উপযুক্ত জবাব দেবে। আমার দেওয়া সংকেত ঠিকঠাকই ফলেছে।” এই বিচার শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবকে আটকের পাঁচ মাস পর, যা পাকিস্তানি সামরিক সরকারের নিপীড়নমূলক কৌশলের অংশ ছিল।
প্রতিবেদনে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে গ্রিনওয়ে বলেন, “এটি প্রমাণ করে পূর্ব বাংলার মানুষ এই বিচারের সিদ্ধান্তে কতটা ক্ষুদ্ধ।” এছাড়া, প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরা হয়। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি জয়লাভ করে, যা ৩১৩ সদস্যের জাতীয় পরিষদে তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে। এই ফলাফল শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও তার ঘনিষ্ঠরা তাকে এই পদে অধিষ্ঠিত হতে দেননি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানের পক্ষে আন্দোলন করেছিলেন, সত্ত্বেও এখন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
ঢাকায় এদিন
এদিন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, বেআইনি ঘোষিত আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত সকল সদস্যের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ৮৮ জন জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) এবং ৯৪ জন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যের (এমপিএ) বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে সরকার তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। এই ঘোষণা পাকিস্তানি শাসনের প্রচারণার অংশ হিসেবে দেখা হয়, যার মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ও প্রভাব কমানোর চেষ্টা করে।
দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ
২৩ আগস্ট মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে সফল গেরিলা অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানগুলো ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ফেনী: ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল পরশুরামের চিথলিয়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই হামলায় হানাদার বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: শিবগঞ্জের ৭ নম্বর সেক্টরে ক্যাপ্টেন ইদ্রিস ও সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কানসাটে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানে তীব্র আক্রমণ চালায়। প্রায় চার ঘণ্টা স্থায়ী যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং অনেক সৈন্য হতাহত হয়।
কুমিল্লা: চৌদ্দগ্রামে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর জগন্নাথদিঘি ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। এই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনীর চারটি বাঙ্কার বিধ্বস্ত হয় এবং বহু সেনা নিহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
সেনেরবাজারে পাকিস্তানি সেনাদের একটি নৌকার উপর মুক্তিবাহিনী গুলিবর্ষণ করে, যাতে ৭ জন হানাদার সেনা নিহত হয়। বাকিরা নৌকা তীরে ভিড়িয়ে পালিয়ে যায়।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ ও ‘সি’ কোম্পানি নয়ানপুর রেলস্টেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানে উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত বাঙ্কার বিধ্বস্ত হয় এবং বহু সেনা নিহত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মুক্তিযোদ্ধারা নয়ানপুর রেলস্টেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানে মর্টার ও ১০৬-রিকোয়েললেস রাইফেল দিয়ে আক্রমণ চালায়। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং কয়েকজন সেনা হতাহত হয়।
ভারতে এদিন
ভারত এই সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। ২৩ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দিল্লিতে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের সমস্যা সমাধান ও শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিষয়টি কীভাবে উত্থাপন করা যায়, তা নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এমনকি ভারত যদি বিষয়টি না তুলত, অন্য কোনো দেশ নিশ্চিতভাবেই এই প্রস্তাব উত্থাপন করত। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আলোচনার ধরন থেকে মনে হচ্ছিল, ভারত বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে এগোচ্ছে।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএম)-এর পলিটব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব বাংলার আন্দোলন দমনে পাকিস্তানি সামরিক সরকারকে চীনের সমর্থন একটি জাতীয় আন্দোলনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। বেঙ্গালুরুতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পি সুন্দরিয়া বলেন, “পূর্ব বাংলার মানুষের সিদ্ধান্তের উপর চীন যে ধরনের আঘাত করছে, তা নৈতিকতা ও মানবতার দিক থেকে বিধ্বংসী। চীনের এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।”
এছাড়া, বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম সর্বাত্মক মুক্তির সংগ্রাম। এই সংগ্রামে জয়ী হতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।” জনগণকে সামরিক সরকারকে কোনো প্রকার কর না দেওয়ার, খেলাধুলা ও আমোদ-প্রমোদ বর্জন করার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সক্রিয় সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পাকিস্তানে এদিন
পাকিস্তানে এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর পদ থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানকে সরিয়ে একজন অসামরিক বাঙালি, সম্ভবত ডা. আবদুল মোত্তালিব মালিককে, নিয়োগের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য ছিল শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। তবে এটি পাকিস্তানের প্রচারণার অংশ হিসেবে দেখা হয়।
লাহোরে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম বলেন, “পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় চরদের (মুক্তিযোদ্ধা) প্রধান শিকার জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (আওয়ামী লীগ) বিরোধিতা করার জন্য বহু জামায়াত কর্মী দুষ্কৃতকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে।” তিনি দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামী একমাত্র দল যারা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিটি অংশে মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবিলা করছে।
আন্তর্জাতিক মহলে এদিন
আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন ও সমালোচনা উভয়ই এদিন প্রকাশ পায়। লন্ডনে পিডিপি নেতা মাহমুদ আলী পাকিস্তানের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে বলেন, “পত্র-পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে, পরিস্থিতি তার বিপরীত। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্নগুলো ঠিক নয়। ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনে দেশের বহু উন্নতি হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, পূর্ব পাকিস্তান বাঙালি অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হয় এবং কেন্দ্রেও বাঙালিরা উচ্চ পদে রয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত আবু সাঈদ চৌধুরী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের কাছে মানবাধিকার কমিশনের জরুরি সভা ডাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “ইয়াহিয়া খানের অবৈধ সরকার যেভাবে বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গোপনে সামরিক বিচারের মুখোমুখি করার অধিকার পাকিস্তানের নেই।”
নিউজ উইক-এর এক প্রতিবেদনে ভারত-সোভিয়েত সম্পর্কের উপর আলোকপাত করা হয়। সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঁদ্রে গ্রোমিকোর দিল্লি সফরের সময় ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ২০ বছরের শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি ভারতের জোটবদ্ধ না হওয়ার নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয় এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনকে স্পষ্ট করে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করে এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বিপরীতে রাশিয়ার অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
স্থানীয় উদ্যোগ
নোয়াখালীর হাতিয়ার নলচিরা বাজার জামে মসজিদ এলাকায় শান্তি কমিটির এক সভায় মাহমুদুর রহমানকে সভাপতি, সৈয়দ আহমদ খানকে সম্পাদক ও মৌলভী ছালেহউদ্দিনকে যুগ্ম সম্পাদক করে নলচিরা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি পাকিস্তানি শাসনের সমর্থনে গঠিত হয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করছিল।
২৩ আগস্ট ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন বিচার, মুক্তিবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযান, ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগ, এবং আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া একত্রিত হয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামকে নতুন গতি প্রদান করে। এই দিনের ঘটনাবলি বাংলাদেশের জনগণের অদম্য সংকল্প ও আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রমাণ বহন করে।
সূত্র:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: সপ্তম, দশম, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ খণ্ড।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর এক, দুই ও সাত।
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি: যুক্তরাজ্য, আবদুল মতিন, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা।
টাইম ম্যাগাজিন, ২৩ আগস্ট ১৯৭১।
দৈনিক পাকিস্তান, ২৪ আগস্ট ১৯৭১।
দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ২৪ আগস্ট ১৯৭১।
দ্য গার্ডিয়ান, ২৩ আগস্ট ১৯৭১।
মর্নিং স্টার, ২৪ আগস্ট ১৯৭১।
আনন্দবাজার পত্রিকা ও যুগান্তর, ভারত, ২৪ ও ২৫ আগস্ট ১৯৭১।
মন্তব্য করুন