ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

২৪ আগস্ট ১৯৭১: দেশজুড়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
২৪ আগস্ট ১৯৭১: দেশজুড়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ

১৯৭১ সালের ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির একটি দিন ছিল। এই দিনে আন্তর্জাতিক, জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটে, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এই প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলন, পাকিস্তান ও ভারতের রাজনৈতিক উদ্যোগ, মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ঘটনাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

আন্তর্জাতিক মহল: জেনেভায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলন

২৪ আগস্ট ১৯৭১ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়। এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুলতান মোহাম্মদ খান। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতেরা পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশগুলোর সরকারি মহলের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করা এবং পাকিস্তানের অবস্থানকে শক্তিশালী করার কৌশল নির্ধারণ করা।

জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর জোরালো সমর্থন পেতে পারে। তিনি পরামর্শ দেন যে, পাকিস্তানকে বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা, খাদ্য সমস্যার সমাধান এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার স্থগিত করার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম, বিশেষ করে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, টাইম এবং নিউজউইক পাকিস্তানের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত জেড এম ফারুকী বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তার কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এবং সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জানায়। সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির আওয়ামী লীগ এবং শরণার্থীদের প্রতি সমর্থন পাকিস্তানের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। তিনি মনে করেন, পূর্ব পাকিস্তানে বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে পাকিস্তানের পক্ষে প্রচারণা চালানো সহজ হবে। তিনি পাকিস্তানের দুই অংশ থেকে ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারাভিযানে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাইকমিশনার সালমান আলী বলেন, ব্রিটিশ সরকার পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত নয়। তিনি জানান, বাঙালি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের বিরোধিতা করতে তিনি পাকিস্তান সলিডারিটি প্রতিষ্ঠান গঠনে সহায়তা করেছেন। তিনি দাবি করেন, ব্রিটেনের সংবাদপত্রগুলো ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় পাকিস্তানবিরোধী। লেবার পার্টি ১৯৪৭ সালের দেশভাগ বানচাল করতে বদ্ধপরিকর। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর যুক্তরাজ্য সফর এবং জাতিসংঘের অধিবেশনের সময় দ্য টাইমসসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন দেওয়ার এবং পূর্ব পাকিস্তানে অবাঙালি হত্যার বিষয়ে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রস্তাব দেন। সোভিয়েত ইউনিয়নে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জামসেদ মার্কার বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। তবে, ভারত-সোভিয়েত চুক্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সোভিয়েত প্রভাব বাড়াবে। তিনি মনে করেন, এই চুক্তি মূলত চীনের প্রভাব কমানোর জন্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়।

চীনে নিযুক্ত বাঙালি রাষ্ট্রদূত কে এম কায়সার বলেন, চীন বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। তারা ভারতের বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনকে সন্তোষজনক মনে করে। ভারত-সোভিয়েত চুক্তির খবর চীনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়নি, কারণ তারা এটিকে তাদের স্বার্থবিরোধী মনে করে। তিনি জানান, চীন আফগানিস্তান, বার্মা, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। তবে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে চীন কী ধরনের সাহায্য দেবে, তা নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

যুগোস্লাভিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আই এ আখুন্দ বলেন, যুগোস্লাভ সরকার পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল, তবে তারা বাংলাদেশের বিদ্রোহে ভারতের হাত রয়েছে বলে বিশ্বাস করে না। ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং চেকোস্লাভাকিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা জানান, এই দেশগুলোর সরকার পাকিস্তানের বক্তব্য মেনে নেয়নি। শুধুমাত্র ফ্রাংকোর স্পেন পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করছে।

ঢাকায় ঘটনাবলি

২৪ আগস্ট ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতীয় অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পঁচাগড়, সাতক্ষীরা, ঝিকরগাছা, ঠাকুরগাঁও, সিলেট এবং কুমিল্লা দিয়ে ৫০০ অমুসলিমসহ ৫,৪০০ শরণার্থী দেশে ফিরে এসেছেন। এই বিবৃতির মাধ্যমে পাকিস্তানি প্রশাসন ভারতের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি প্রচার করার চেষ্টা করে।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এদিন ‘জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের বহাল সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তান সরকার বেআইনি ঘোষিত আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। একজন মুখপাত্র জানান, ৮৮ জন জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং ৪ জন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, এই সদস্যদের জাতীয় সংকটের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসা উচিত।

পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলাম দলের জেনারেল সেক্রেটারি মওলানা আশরাফ আলী এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত এলাকায় নিরীহ জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। তিনি এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এদিন পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি ও শান্তি কমিটির আহ্বায়ক খাজা খয়েরউদ্দিন এবং প্রাদেশিক সহ-সভাপতি এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম লাহোরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে মুসলিম লীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখা এবং বিভক্ত তিনটি মুসলিম লীগকে একত্রিত করা।

পাকিস্তানে ঘটনাবলি

করাচি বিমানবন্দরে খাজা খয়েরউদ্দিন বলেন, সবার উচিত দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের সঙ্গে হাত মেলানো। তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান, কারণ এই দলই পাকিস্তানের জন্ম দিয়েছে। তিনি পাকিস্তানের ঐক্য অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব চৌধুরী রহমত বলেন, বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এখনো আসেনি। তিনি মনে করেন, সামরিক প্রশাসনের হাতেই দেশ নিরাপদ। উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হলে তবেই নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।

ভারতে ঘটনাবলি

২৪ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘শরণার্থী সাহায্যে মেয়ররা টাকা দিলেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সর্বভারতীয় মেয়রস কাউন্সিল বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দান করেছে। বোম্বের মেয়র এই তথ্য কলকাতার মেয়র শ্যামসুন্দর গুপ্তকে চিঠি দিয়ে জানান। শ্যামসুন্দর গুপ্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সর্বভারতীয় মেয়র সম্মেলন ডাকার অনুরোধ জানান। তবে, বোম্বের মেয়র এটিকে রাজনৈতিক প্রস্তাব মনে করে সম্মেলন ডাকতে অস্বীকৃতি জানান।

একই দিন কলকাতায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী কমিটির চেয়ারম্যান ডি পি ধর প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। তিনি ২৩ আগস্ট দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। বৈঠকে মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা, পাকিস্তানি বাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং শরণার্থী সমস্যার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। দিল্লির সরকারি সূত্র জানায়, এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।

যুগান্তর পত্রিকায় ‘জঙ্গীশাহীর ত্রাহি ত্রাহি রব- এখন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে কাতর আবেদন’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, পূর্ববঙ্গের সামরিক প্রশাসন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের (যাদের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে) দ্রুত দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধ যুদ্ধ

২৪ আগস্ট মুক্তিবাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকারদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ চালায়।

কুমিল্লা: মুক্তিবাহিনীর একটি দল কুমিল্লার সি এন্ড বি রোডের কালামুড়ায় অবস্থানরত রাজাকারদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় সাতজন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। পরে তারা কালামুড়া ব্রিজটি ধ্বংস করে দেয়। সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের (স্বাধীনতার পর বীর বিক্রম ও অনারারি ক্যাপ্টেন) নেতৃত্বে আরেকটি দল কালামুড়া ব্রিজের দুই মাইল দক্ষিণে মাধবপুর ও মীরপুরের মাঝখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দুটি বাস, তিনটি জিপ এবং দুটি গাড়ির ওপর অ্যামবুশ করে। এই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনীর গাড়িগুলো ধ্বংস হয় এবং বহু সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা একজন রাজাকার ও তিনজন পাকিস্তানি সৈন্যকে অস্ত্রসহ আটক করে।

মেহেরপুর: ৮ নম্বর সেক্টরে নায়েব সুবেদার আবদুল মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর দুটি দল নাটোদা থেকে মুজিবনগরের দিকে অগ্রসর হওয়া পাকিস্তানি সেনাদের বাগুয়ানে ও মানিক নগরে অ্যামবুশ করে। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যুদ্ধে নয়জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং অনেকে আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হন।

সাতক্ষীরা: মুক্তিবাহিনী আশাশুনিতে রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালায়। এই হামলায় কয়েকজন রাজাকার নিহত হয় এবং ক্যাম্পটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। ২৪ আগস্ট ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জেনেভায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা প্রকাশ করে। পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন এবং তাদের সমর্থক দলগুলো অভ্যন্তরীণভাবে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করলেও মুক্তিবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধ তাদের চাপে ফেলে। ভারতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার এবং মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের গোপন বৈঠক স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সমর্থনের গভীরতা প্রকাশ করে। এই দিনের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।

সূত্র:

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: সপ্তম, দশম, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ খণ্ড।

দৈনিক যুগান্তর, ২৪ আগস্ট ১৯৭১।

দৈনিক পাকিস্তান, ২৫ আগস্ট ১৯৭১।

দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ২৫ আগস্ট ১৯৭১।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর দুই, আট ও নয়।

মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি: যুক্তরাজ্য, আবদুল মতিন, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা।

আনন্দবাজার পত্রিকা ও যুগান্তর, ভারত, ২৫ ও ২৬ আগস্ট ১৯৭১।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৫ আগস্ট ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঘটনাবহুল দিন

২৪ আগস্ট ১৯৭১: দেশজুড়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ

২৩ আগস্ট ১৯৭১: পাকিস্তানি বাহিনীর জগন্নাথদিঘি ঘাঁটিতে আক্রমণ মুক্তিবাহিনীর

২১ আগস্ট ১৯৭১: পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ ইরাকে নিযুক্ত বাঙালি রাষ্ট্রদূতের

ইউনুসের বাধায় নতুন রূপে ফিরলেন বঙ্গবন্ধু

একজন অমর মুক্তিযোদ্ধার জীবনী / বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান

২০ আগস্ট ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রামের চিলমারী এলাকা হানাদারমুক্ত করেন

১৯ আগস্ট ১৯৭১: দেশজুড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসী অপারেশন মুক্তিবাহিনীর

১৮ আগস্ট ১৯৭১: কুমিল্লায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তিনটি নৌকায় অ্যামবুশ

১৭ আগস্ট ১৯৭১: মাকালকান্দি গ্রামে পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞ

১০

একজন স্কুলছাত্রের গ্রেপ্তার: শিশু অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্ন

১১

১৪ আগস্ট ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঘটনাবহুল দিন

১২

১৩ আগস্ট ১৯৭১: বঙ্গবন্ধুর বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া ও বাংলাদেশে প্রতিরোধের তীব্রতা

১৩

১২ আগস্ট ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধ এখন জনযুদ্ধে পরিণত হয়েছে

১৪

১১ আগস্ট ১৯৭১: লন্ডনের হাইড পার্কে প্রবাসী বাঙালিদের প্রতিবাদ

১৫

রুহিয়ার রামনাথ হাটের গণহত্যা ও গণকবর | ঠাকুরগাঁও

১৬

বাড়িবাঁকা গণহত্যা | মেহেরপুর

১৭

গণ্ডগ্রাম ও ভারইল গণহত্যা | গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

১৮

১০ আগস্ট ১৯৭১: রাজাকারদের চতুলবাজার ঘাঁটিতে মুক্তিবাহিনীর অভিযান

১৯

৯ আগস্ট ১৯৭১: শাহবাজপুরে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৫০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত

২০